September 27, 2025, 11:45 am

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
দুর্গাপূজা উপলক্ষে সারাদেশে র‌্যাবের ২৮১ টহল দল মোতায়েন ভারত চাল রফতানিতে নতুন নিয়ম জারি করেছে, বাংলাদেশের আমদানিতে প্রভাব কুষ্টিয়ায় হত্যাকাণ্ড/ট্রাইব্যুনালে ইনুর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা কুষ্টিয়ার দৈৗলতপুরে গৃহবধুকে পালাক্রমে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩ নির্বাচনে আ. লীগ ও জাতীয় পার্টির অংশগ্রহণ চান মির্জা ফখরুল নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে মুফতি আমির হামজাকে আইনি নোটিশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সঙ্গীত ও নৃত্যের শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে নাগরিকদের আহ্বান দুর্গাপূজা/ ভারতে ৫০০ কেজি চিনিগুঁড়া চাল উপহার পাঠলো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চুয়াডাঙ্গায় ধর্ষণের অপরাধে যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ছয় মাসে ব্যাংক খাতে চাকরি হারালেন ৯৭৮ জন

আমদানি বাড়িয়েও কমানো যাচ্ছে না কাঁচামরিচের দাম

দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
দেশে কাঁচামরিচ আমদানি রেকর্ড ছুঁলেও খুচরা বাজারে দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই। বর্তমানে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়।
আমদানিকারকরা বলছেন, ভারতেই মরিচের দাম বেশী । তাই আমদানি করা মরিচের দাম আপাতত কমছে না।
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচামরিচ আমদানি বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। একদিনে বন্দরে রেকর্ড পরিমাণ মরিচ প্রবেশ করেছে।
দীর্ঘ আট মাস পর গত ২৫ জুন থেকে মরিচ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয় গত ১০ জুলাই।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ আগস্ট হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ২৯টি ট্রাকে ২৩৯ টন কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে। গত ছয়দিনে ৭২টি ট্রাকে ৬১৮ টন মরিচ এসেছে। আগে যেখানে দৈনিক ৮ থেকে ১০ ট্রাক আমদানি হতো, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ থেকে ২০ ট্রাকে।
কুষ্টিয়া থেকে হিলি বন্দরে মরিচ কিনতে গিয়েছিলেন হুমায়ূন হোসেন আসকারী। তিনি জানান, প্রচুর আমদানি হচ্ছে, কিন্তু দাম কমছে না। দেশী ও ভারতীয় উভয় মরিচের একই দাম।
তিনি জানান, দেশীয় ক্রেতাদের কাছে ভারতীয় মরিচের চাহিদা রয়েছে।
হিলির মরিচ আমদানিকারক শাহাবুল ইসলাম জানান, ভারতের বেনারশ থেকে মরিচ আনা হচ্ছে।
তার ভাষ্য, ভারতেও উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় দাম বেড়ে গেছে। তিনি বলেন, “ভারতে প্রতি কেজি মরিচ কিনতে হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ রুপিতে। তার ওপর প্রতি কেজিতে ৪০ টাকা শুল্ক গুনতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে দেশের বাজারে ১৮০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।
এর পরও আমাদের নষ্ট হয়ে পড়া মরিচে তাদেরকে লোকসান গুনতে হচ্ছে বলে জানান এই ব্যবসায়ী।
বাংলাদেশের প্রতিটি জেলাতেই মরিচ উৎপাদিত হয়ে থাকে। চলতি মৌসুমে বন্যা ও খরায় মরিচের আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে বাজারে দেশে উৎপাদিত কাঁচামরিচের সরবরাহ কমে যায়।
কৃসি মন্ত্রণালয়ের সূত্র অনুযায়ী, সারাদেশে ৮ লাখ ৬৯ হাজার ৫১৪ একর জমিতে মরিচ উৎপাদিত হয় বলে ধারণা করা হয়। এর মধ্যে ৩৫% কাচামরিচ ব্যবহৃত হয় শুকনা মরিচ উৎপাদনে। খরিফ মৌসুমে সারাদেশে ৫৮০০ একরে এবং রবি মৌসুমে ৩৭৫০০০ একর জমিতে মরিচ উৎপাদিত হয়। তবে মোট উৎপাদনের প্রায় ৮৭% রবি মৌসুমে হয়। প্রতিবছর বাজারে আসা কাঁচামরিচের পরিমাণ ৮৫৮০০ টন। চাহিদাও প্রায় একই রকম। উপাত্ত অনুযায়ী সারাদেশে উৎপাদিত মরিচের মধ্যে শতকরা ৭৯ ভাগ স্থানীয় বীজ থেকে এবং শতকরা প্রায় ১৭ ভাগ অধুনা প্রচলিত হাইব্রিড বীজ থেকে উৎসারিত।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Comments are closed.

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net